শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন
মাওলানা রফিকুল ইসলাম:
দোয়া একটি বিশেষ ইবাদত। এটা স্পষ্টভাবে হাদিসে বলা হয়েছে। তবে দোয়া করতে হবে শুধু মহান আল্লাহর কাছে। কারণ তিনিই একমাত্র প্রয়োজন পূরণ করার ক্ষমতা রাখেন।
মানুষ হিসেবে আমরা আমাদের চাহিদাগুলো আল্লাহর কাছে বলব, আমরা আমাদের ভুলগুলোর জন্য তার কাছে ক্ষমা চাইব। তিনি ওয়াদা করেছেন, তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দেবেন, আমাদের ক্ষমা করবেন। সত্যিই এ এক বড় সুযোগ। আল্লাহর কাছে চাওয়ার জন্য তার দরজা সবসময় আমাদের জন্য উন্মুক্ত। আমরা চলতে-ফিরতে, উঠতে-বসতে, কাজ-কর্মে সবসময় আল্লাহর কাছে চাইব। দোয়া হচ্ছে আত্মরক্ষার বর্ম।
দোয়ার আদব হলো, দোয়া করার সময় তা কবুল হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখা। বিনয়ের সঙ্গে দোয়া করা এবং আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ ও তার শাস্তি থেকে বাঁচার প্রবল আগ্রহ নিয়ে দোয়া করা। দোয়ায় আল্লাহর কাছে অত্যন্ত বিনীতভাবে নিজের দুর্বলতা, অসহায়ত্ব ও বিপদের কথা কাছে প্রকাশ করা।
দোয়ায় বেশি বেশি মহান আল্লাহর প্রশংসা করা এবং রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পেশ করা। দোয়ায় নিজের কৃত সব পাপ ও গুনাহ স্বীকার করে প্রার্থনা করা। এ ছাড়া প্রার্থনাকারী সর্বদা নিজের কল্যাণের জন্য দোয়া করবে। নিজের বা অন্য কোনো মুসলমানের অনিষ্টের দোয়া করবে না। তাহলেই আশা করা যায়, মহান আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করবেন। আর এমন দোয়া প্রসঙ্গেই তো মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘আল্লাহকে ছেড়ে কাউকে ডেকো না, যে না তোমার কোনো উপকার করতে পারবে আর না কোনো ক্ষতি করতে পারবে। যদি তা করো, তাহলে অবশ্যই তুমি জালেমদের (মুশরিক) অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত ১০৬)
দোয়া কবুলের কিছু সময় হলো আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর, সিজদার মধ্যে, ফরজ নামাজের শেষে, জুমার দিনের শেষ অংশে এবং রাতের শেষ তৃতীয়াংশে। এ ছাড়া দোয়া ইউনুস দ্বারা প্রার্থনা করলে সে দোয়া বিফলে যায় না। অন্যদিকে রোজা পালনকারী, বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির দোয়া, হজ-ওমরাহ আদায়কারীর দোয়া, আল্লাহর পথে অংশগ্রহণকারীর দোয়া, মুসাফির, অত্যাচারিত ব্যক্তি এবং সন্তানের বিরুদ্ধে পিতা-মাতার দোয়া খুব দ্রুত কবুল হয়। তবে দোয়ার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, হারাম খাদ্য ও পানীয় না খেয়ে দোয়া করা অর্থাৎ উপার্জন হালাল হওয়া।
ভয়েস/আআ